বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী থেকে এম কে রানাঃ— পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ জানান, এ বৎসর অনাবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি মতো কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ হয়নি এবং তরমুজ চাষের সম্পূর্ণ অনুকুল পরিবেশ থাকায় কৃষকরা বাম্পার ফলনে সক্ষম হয়েছে।এবার গলাচিপা উপজেলায় ৬ হাজার ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপরেও দুই উপজেলায় এবার সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাঁশখাললী মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল লিঃ করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রশিক্ষণ কমশালা
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায় গোটা উপজেলার মধ্যে চর হড়িদেবপুর সহ গোলখালী, কলাগাছিয়া, চিকনিকান্দি, পানপট্টি, রতনদি-তালতলী, গজালিয়া, চরবিশ্বাস ও চরকাজল ইউনিয়নগুলোতে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা। স্থানীয় চাষী রফিক মৃধা বলেন তিনি ১৫ একর জমিতে ৫ লক্ষ টাকা ঋন নিয়ে ১০ লাখ টাকা খরচ করে ৬ জন লোক দিন রাত পরিশ্রমের ফলে ভাল ফসল উৎপাদন হলেও করোনা ভাইরাসের কারনে পরিবহন ব্যবস্থা সহ ক্রেতা না থাকায় রাতের ঘুম হারাম হয়েছে। সরকার যদি আমাদের দিকে না তাকায় তাহলে আমাদে ভিটেমাটি বিক্রি করে পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।
আরও পড়ুনঃ সাটুরিয়ায় করোনা ভাইরাস থেকে এলাকাবাসীকে নিরাপদে রাখতে হাট বাজার বন্ধ ঘোষণা
তরমুজ চাষীরা জানান, বর্তমান মৌসুমে তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে একর প্রতি ৬৫ হাজার টাকা এবং বর্তমান মূল্য উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে একর প্রতি ৩০ হাজার টাকা লাভ হবার কথা। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংকটে হুমকির মুখে তরমুজ চাষিরা। কৃষকরা জানান, করোনা সংকটে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপর্যয় নেমে এসেছে তরমুজ ব্যবসায়। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই পথে বসবে তরমুজ চাষিরা এবং ক্ষতিগ্রস্থ হবে হাজারো কৃষক।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply